কৃষি থেকে প্রাপ্ত আয় কিভাবে পরিগণণা করা হয়?
যেকোনো দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে কৃষি খাত। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও কৃষিখাত থেকে প্রাপ্ত আয় পরিগণণা করে আয়কর প্রদান করতে হয়। কর কর্তৃপক্ষ হিসেবে এনবিআর কৃষি থেকে প্রাপ্ত আয় পরিগণণা করে নির্দিষ্ট হারে কর নির্ধারণ করে দিয়েছে। আয়কর নির্দেশিকা ২০২৪-২৫ অনুযায়ী, এনবিআর কৃষি আয় পরিগণণার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছে।
কৃষিখাত থেকে প্রাপ্ত আয় পরিগণণা
আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৪০-৪৪ অনুযায়ী কৃষি থেকে আয় নিরূপিত হয়ে থাকে। ষষ্ঠ তফসিলের দফা (২০) অনুযায়ী কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির "কৃষি হইতে আয়” খাতের আওতাভুক্ত আয়ের ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত থাকবে, যদি তিনি-
(ক) পেশায় একজন কৃষক হন;
(খ) সংশ্লিষ্ট আয়বর্ষে নিম্নবর্ণিত আয় ব্যতীত কোনো আয় না থাকে, যথা;-
(অ) জমি চাষাবাদ থেকে প্রাপ্ত আয়:
(আ) সুদ বা মুনাফা বাবদ অনধিক ২০ হাজার টাকা আয়।
কোনো ব্যক্তির কৃষি সম্পর্কিত অর্থনৈতিক কার্যাবলি থেকে অর্জিত আয় কৃষি থেকে আয় হিসাবে পরিগণিত হবে। কৃষি অর্থে যেকোনো প্রকার উদ্যান, পশু-পাখি পালন, ভূমির প্রাকৃতিক ব্যবহার, হাঁস-মুরগি ও মাছের খামার, সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর খামার, নার্সারি, ভূমিতে বা জলে যেকোনো প্রকারের চাষাবাদ, ডিম-দুধ উৎপাদন, কাঠ, তৃণ ও গুল্ম উৎপাদন, ফল, ফুল ও মধু উৎপাদন এবং বীজ উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত হবে।
তবে, কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উৎপাদিত ও প্রক্রিয়াকৃত চা এবং রাবার এর বিক্রয়লব্ধ অর্থের ৪০% ব্যবসায় হতে আয় এবং ৬০% কৃষি হইতে আয় হিসেবে গণ্য হবে।
উপসংহার
বাংলাদেশের মোট রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশের যোগান দিয়ে থাকে কৃষি। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক কৃষকের উচিত তাদের আয়ের পরিমাণ করমুক্তসীমা অতিক্রম করলে যথাযথভাবে কর প্রদান করা। কৃষিখাতের আয় সম্পর্কে জানার জন্য বিডিট্যাক্সেশনের সাথেই থাকুন।
Comments (0)